সিরিজ শুরুর আগেই কোহলির কেরিয়ার নিয়ে এক বড় মন্তব্য করলেন রস টেলর
নিউজিল্যাণ্ডের জাতীয় ক্রিকেট টিমের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেলর। টিমের ক্যাপ্টেন্সি এবং কোচিং স্টাফদের সমস্যার মধ্যেও টেলরের ব্যাটিং গড় ৪৫ রানের বেশি। ভারতীয়দের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ব্যাটসম্যান আইপিএলে সর্বমোট চারটি আলাদা আলাদা টিমের হয়ে খেলেছেন। রয়্যাল চ্যালেন্জার ব্যাঙ্গালোরে থাকাকালীন তিনি বিরাট কোহলিকে কাছ থেকে দেখেছেন। তখনও বিরাট ভারতীয় টিমের ব্যাটিং স্তম্ভ হয়ে ওঠেননি বরং তরুণ ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। একটি বেসরকারী সংস্থার ইন্টারভিউতে কোহলির ক্রিকেট ভবিষৎ নিয়ে মুখ খুললেন রস টেলর।
প্রশ্ন — এখন ভারতবর্ষে উৎসব চলছে। আপনার কী মনে হয় নিউজিল্যান্ড ভারতকে হারিয়ে উৎসব কিছুটা হলেও পন্ড করতে পারবে?
উ — মাঠে যখন টিম খেলতে নামে জেতার জন্যেই নামে। তবে সব ম্যাচ তো জেতা সম্ভব হয়না। ইন্ডিয়া যথেষ্ট কঠিন প্রতিপক্ষ। আমাদের যথেষ্ট ভালো করে খেলতে হবে।
প্রশ্ন — আইপিএলে খেললে আপনারা যে ধরনের সাপোর্টারদের পাণ,নিউজিল্যাণ্ডের হয়ে খেলতে এসে ওদের কী মিস করবেন?
উ — ইন্ডিয়ার মত দেশে খেলতে আমি বরাবরই উপভোগ করি। এখানকার দর্শকেরা খেলাটাকে ভালোবাসে। আমি চারটে টিমের হয়ে আইপিএলে খেলেছি। আশা করি এবারেও খেলাটা উপভোগ করবো।

প্রশ্ন — প্র্যাক্টিস ম্যাচে সেঞ্চুরি আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেবে নিশ্চই ?
উ — প্র্যাক্টিস ম্যাচ বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ,ক্রিজে অনেক্ষন সময় কাটানো আমি উপভোগ করি। আমাদের দেশে ঠান্ডা থেকে এসে এখানকার গরম সমস্যায় ফেলেছিলো। তবে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলা আমি যথেষ্ট উপভোগ করি।
প্রশ্ন — টিম ইন্ডিয়ার রিস্ট স্পিনাররা যেভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে উইকেট নিয়েছে দেখেছেন?
উ — যখনই ইন্ডিয়ায় কোনো টিম খেলতে আসবে তাদের স্পিন নিয়ে ভাবতেই হবে। আমাদের স্পিনাররাও তৈরি। প্র্যাক্টিসে আমরা স্পিন নিয়ে যথেষ্ট খেটেছি।
প্রশ্ন — অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দিকে আপনারা নজর রেখেছিলেন?
উ — এখানে এক একটি মাঠের পিচ এক একরকম। প্রত্যেকটি মাঠেই আমরা বহুবার খেলেছি। পিচ বুঝে খেলার ধরন পাল্টাঢ়ে সাফল্য আসবেই।

প্রশ্ন — শুধুমাত্র স্পিন নয়। নতুন বলে ভুবনেশ্বর কুমার এবং বুমরা উইকেট নিচ্ছেন এবং ডেথ ওভারে হার্দিক পান্ডেয়া।
উ — ভুবনেশ্বর কুমার এবং বুমরা দুজনেই অত্যন্ত ভালো বোলার। হার্দিক নিজেকে একজন বিশ্বমানের অলরাউন্ডার হিসেবে তৈরি করছে। পুরো ইন্ডিয়া টিমটারই খুব ভালো ভারসাম্য রয়েছে তবে আমরাও তৈরি।
প্রশ্ন — আপনি সোজা ব্যাটে খেলতেই পছন্দ করেন। তবে স্পিনের বিরুদ্ধে সুইপেও আপনি যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ।
উ — আইপিএলে আমি নিজে স্লগ সুইপ নামে একটি শট উদ্ভাবন করেছিলাম। যখন ছয় মারার প্রয়োজন হয় তখন এই শট খেলা সত্যিই উপভোগ্য।
প্রশ্ন — বিরাটের সাথে আপনি একই আইপিএলে খেলেছেন। এখন বিরাট যেভাবে খেলছে সে বিষয়ে আপনার মত কী?
উ — ২০০৮ সালে বিরাট নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করত। তখন থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ওর প্যাশন ও দায়বদ্ধতা ছিল দেখার মত। এখন ও বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তার সাথে ক্যাপ্টেন হিসেবেও ও টিমকে যথেষ্ট সাফল্য দিচ্ছে। আশা করি ও একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার হয়েই কেরিয়ার শেষ করবে।
প্রশ্ন — কিন্তু যেটা পরিবর্তন হয়েনি তা হল ওনার আক্রমনাত্মক ভঙ্গি?
উ — ওটা ওর নিজস্ব খেলার স্টাইল। আমার মনে হয় ও ক্রিকেট জীবনের শেষদিন অবধি আক্রমনাত্মক মেজাজ ধরে রাখবে। এটা বিপক্ষের টিমকে চাপে রাখার একটা প্রক্রিয়া। ওর বিরুদ্ধে খেলতে আমি বরাবর ই উপভোগ করি।
প্রশ্ন — আপনার কথায় আসি। কেন উইলিয়ামসনের মত একজন ক্রিকেটার টিমে থাকায় আপনাদের বাড়তি সুবিধা হবে।
উ — কেন একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার এবং নিজের দিনে ও একাই ম্যাচ বার করতে পারে। তবে ল্যাথাম ও গাপ্টিলকেও দায়িত্ব নিতে হবে। তাতে ওর বোঝা হালকা হবে আর ও নিজের খেলা খেলতে পারবে।
প্রশ্ন — আপনি আত্মবিশ্বাসী ওয়ান ডে এবং টি টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে ?
উ — ইন্ডিয়ার মত টিমের সাথে খেলায় মাঠে নামার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়। আমরা যদি আমাদের গেম প্ল্যান অনুযায়ী খেলতে পারি তবে ইন্ডিয়াকে যথেষ্ট চাপে ফেলতে পারবো বলে মনে হয়।
প্রশ্ন — কিছু দ্রূত টি-টোয়েন্টির মত প্রশ্ন করবো। আপনার উত্তরের অপেক্ষায় খাকবো।
উ — মার্টিন ক্রো – মেন্টর এবং অনুপ্রেরণা যোগায়।
মার্টিন গাপ্টিল – টিম মেট এবং ভালো বন্ধু।
ব্রেন্ডন ম্যাকালাম – অসাধারন অধিনায়ক এবং ওপেনার। মাঝেমাঝে বেশী কথা বলে ফ্যালেন।
মাইক হেসন – অত্যন্ত ভালো কোচ। আমাদের টিমে যথেষ্ট অবদান আছে
আইপিএল – উপভোগ করি খেলতে। চারটে আলাদা শহরের হয়ে খেলেছি।
অবসর – খুব বেশী দূর নয় বোধহয়।